বুলেটিন্স ইন্ডিয়া ডেস্ক : দাম্পত্য অশান্তির জেরে বিচ্ছিন্ন স্বামী-স্ত্রী। সন্তানকে নিয়ে বাপের বাড়ি চলে গেছেন স্ত্রী। তাঁদের ফেরত পেতে শ্বশুরবাড়ির সামনেই ধর্নায় বসলেন স্বামী। ঘটনাটি ঘটেছে মালবাজার মহকুমার কাঠামবাড়ি এলাকায়।
হরিদাস মন্ডল নামে ওই যুবক পেশায় একজন রাজমিস্ত্রি। চার বছর আগে জ্যোৎস্না মণ্ডল এর সঙ্গে তাঁর বিয়ে হয়। একটি সন্তানও রয়েছে তাঁদের। হরিদাসের দাবি, বছরখানেক আগে সামান্য কারণে অশান্তি হয়, তারপরই সন্তানকে নিয়ে বাপের বাড়িতে চলে যান তাঁর স্ত্রী। এখন শ্বশুরবাড়ির লোকজন জোর করে তার স্ত্রী এবং সন্তানকে আটকে রেখেছেন।
অন্যদিকে হরিদাস মণ্ডলের স্ত্রী জ্যোৎস্নার দাবি, ‘আমি কোনমতেই হরিদাসের সঙ্গে সংসার করতে চাই না। কারণ স্বামী আমার উপর শারীরিক অত্যাচার করে, সে কারণে আমি বাপের বাড়ি চলে এসেছি। এতে আমার মা-বাবার কোন দোষ নেই। কয়েক দিন আমার বাপের বাড়িতেই ছিল আমার স্বামী। বাপের বাড়িতে আমাকে মারধর করতো সে। আমি আর স্বামীর সঙ্গে থাকতে চাই না। এভাবে অত্যাচার সহ্য করতে পারছি না। তাই আমি মেয়েকে নিয়ে বাপের বাড়িতেই থাকতে চাই আমার এবং মেয়ের খরচ দিতে হবে স্বামীকেই।’
মঙ্গলবার দুপুর থেকে ধর্নায় বসেন হরিদাস। সঙ্গে ছিল স্ত্রী ও সন্তানের ছবি। তিনি বলেন, ‘যতক্ষণ না পর্যন্ত স্ত্রী এবং সন্তানকে ফিরে পাচ্ছি ততক্ষণ আমার ধর্না চলবে। এর জন্য মরতেও রাজি আমি।’ এরপর মঙ্গলবার গভীর রাতে ক্রান্তি থানার পুলিশ এবং স্থানীয় পঞ্চায়েত সদস্যের কথায় ধর্না তুলে নেয় করেন হরিদাস।
ছবি সংগৃহীত
Recent Comments