বুলেটিন্স ইন্ডিয়া ডেস্ক : ত্রিপুরায় পুরভোটের ময়দান কাঁপিয়ে ৯৯ শতাংশ আসন জিতে নিয়েছে বিজেপি। দ্বিতীয় স্থান দখলের জোরদার লড়াই চলছে সিপিএম -তৃণমূলের মধ্যে।
ত্রিপুরার ৩৩৪টি ওয়ার্ডের মধ্যে ৩২৯টি আসন বিজেপির দখলে। বামেরা ৩টি, তৃণমূল ১টি এবং প্রদ্যোৎ মাণিক্য দেববর্মনের টিপ্রা মোথা পেয়েছে একটি ওয়ার্ড। এই জয়ে উচ্ছ্বসিত ত্রিপুরার মুখ্যমন্ত্রী বিপ্লব দেব বলছেন, ‘এটা ত্রিপুরার মানুষের জয়। সংখ্যালঘু ও সংখ্যাগুরু ভাগাভাগি মানেনি তাঁরা। বহু মানুষ এ রাজ্যকে বদনাম করতে চেয়েছে, তাদের যোগ্য জবাব দিল ত্রিপুরার মানুষ।’
তবে ত্রিপুরায় পুরভোটের প্রচার চলাকালীন সৃষ্টি হওয়া বিক্ষিপ্ত পরিস্থিতির মধ্যেও তৃণমূলের রাজনীতিতে উত্থান নজর কাড়ছে। একাধিক ওয়ার্ডে বামেদের পেছনে ফেলে দ্বিতীয় স্থানে উঠে এসেছে সবুজ দল। নির্বাচনী ফলাফল অনুযায়ী, আগরতলার ৫১টি ওয়ার্ডের মধ্যে ১৩টিতে দ্বিতীয় স্থানে রয়েছে তৃণমূল। বাকিগুলিতে বিজেপিকে লড়াই দিয়েছে সিপিএম। আমবাসায় একটি ওয়ার্ডে জয় পেয়েছে তৃণমূল। একটি ওয়ার্ড পেয়েছে বামেরা ও একটি আসন পেয়েছে টিপ্রা মোথা। তবে এখানকার সমস্ত ওয়ার্ডেই দ্বিতীয় স্থান অধিকার করেছে বামেরা। তবে তেলিয়ামুড়া পুর পরিষদের সবক’টি আসনে দ্বিতীয় স্থানে রয়েছে তৃণমূল। এমনকী, বিলোনিয়ার একটি ওয়ার্ডেও দ্বিতীয় স্থান দখল করেছে ঘাসফুল শিবির।
প্রসঙ্গত, গত মে মাসের পরই ত্রিপুরায় পুরভোটে নিজেদের সংগঠন মজবুত করতে কোমর বেঁধে নেমেছিল তৃণমূল। প্রচারের সময় নানান ভাবে বাধার মুখে পড়েছে। গ্রেফতার হয়েছেন যুবনেত্রী সায়নী ঘোষও। তবু থামেননি সবুজ সৈনিকেরা। আর ভোটবাক্সে তারই ফল পেল ঘাসফুল শিবির। তৃণমূলের রাজ্য সম্পাদক তথা মুখপাত্র কুণাল ঘোষ বলেন, ‘দু’মাসের সংগঠনে ত্রিপুরায় ‘নিঃশব্দ বিপ্লব’। হামলা-মামলা, ১৪৪ ধারা, ছাপ্পার পরেও দুমাসেই আমরা ২০% ভোট পেলাম।’ তৃণমূল বলছে, ‘২০২৩ সালের ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন হল। এবারই খেলা হবে।’
ছবি সংগৃহীত
Recent Comments