প্রথম ম্যাচেই চোট অশ্বিনের, ডাইভ দিতে গিয়ে সরল কাঁধের হাড়।
বুলেটিন্স ইন্ডিয়া ডেস্ক: দলের স্পিন বিভাগকে শক্তিশালী করার জন্যই নিলামে কিংস ইলেভেন পাঞ্জাবের কাছ থেকে রবিচন্দ্রন অশ্বিনকে কিনেছিল দিল্লি। শুধু বোলিং নয়, তাঁর অভিজ্ঞতাকেও কাজে লাগাতে চেয়েছিল দিল্লি ফ্র্যাঞ্চাইজি। প্রথম ম্যাচেই নিজের জাত চেনান অশ্বিন। কিন্তু তারপরেই চোট পেলেন তিনি। যা খবর, তাতে কাঁধের হাড় সরে গিয়েছে এই স্পিনারের। চোট বড় হলে এই আইপিএলে হয়তো আর দেখাই যাবে না তাঁকে।
কিংস ইলেভেন পাঞ্জাবের বিরুদ্ধে প্রথম ম্যাচেই বল হাতে কামাল দেখান অশ্বিন। প্রথম ওভারেই তিনি তুলে নেন করুণ নায়ার ও নিকোলাস পুরানের উইকেট। বড় দুটো ধাক্কা দেন পাঞ্জাবের ব্যাটিংয়ে। কিন্তু ওভারের শেষ বলে একটা সিঙ্গল আটকাতে গিয়ে বিনা কারণে ডাইভ দেন অশ্বিন। আর তাতেই চোট পান তিনি।
ডাইভ দেওয়ার পরেই দেখা যায় কাঁধে হাত দিয়ে যন্ত্রণায় কাতরাচ্ছেন অশ্বিন। সঙ্গে সঙ্গে ছুটে আসেন দলের ফিজিও প্যাট্রিক ফারহার্ট। কোনও রকমে অশ্বিনকে ধরে মাঠের বাইরে বেরিয়ে যান তিনি। যন্ত্রণায় রীতিমতো কাঁদতে দেখা যায় অশ্বিনকে। জার্সিকেই কোনও রকমে স্লিংয়ের মতো করে আটকে নিয়ে যান তিনি। দলের কোচ রিকি পন্টিংকেও দেখা যায় অশ্বিনকে সমবেদনা জানাচ্ছেন।
পরে ম্যাচ চলাকালীন দেখা যায়, ড্রেসিং রুমে বসে রয়েছে অশ্বিন। তাঁর বাঁ’হাতে স্লিং লাগানো। কাঁধের কাছে আইস ব্যাগ লাগানো। মুখে অবশ্য হাসিই ছিল এই স্পিনারের। তবে মনে করা হচ্ছে কাঁধের হাড় সরে গিয়েছে অশ্বিনের। সেরকম হলে গোটা মরসুমে হয়তো আর দেখা যাবে না এই স্পিনারকে। আর যদি সেটা হয় তাহলে তা দলের পক্ষে খুব খারাপ হতে পারে। সেটা কখনওই চাইবে না দিল্লি শিবির। অশ্বিনকে সুস্থ করে তোলার আপ্রাণ চেষ্টা করবেন ফিজিও। তবে এই বিষয়ে দিল্লির তরফে কোনও বিবৃতি এখনও দেওয়া হয়নি।
এদিকে এই ম্যাচে আম্পায়ারের একটা সিদ্ধান্ত নিয়ে শুরু হয়েছে বিতর্ক। দিল্লির করা ১৫৭ রান তাড়া করতে গিয়ে পরপর উইকেট খুইয়ে চাপে পড়ে গিয়েছিল পাঞ্জাব। সেখান থেকে দলকে টেনে তোলেন মায়াঙ্ক আগরওয়াল। তাঁকে সঙ্গত দেন কৃষ্ণাপ্পা গৌতম ও ক্রিস জর্ডন। জেতার জন্য যখন ১০ বলে ২১ রান বাকি তখনই একটা দু’রান নেওয়ার সময় লেগ আম্পায়ার নীতিন মেনন জানান, শর্ট রান নিয়েছেন ক্রিস জর্ডন। ফলে সেই রান নাকচ হয়ে যায়। তার ফলে শেষ ওভারে জয়ের জন্য ১২ রানের জায়গায় ১৩ রান দরকার থাকে পাঞ্জাবের।
শেষ ওভারের প্রথম তিন বলেই ১২ রান নিয়ে নেন আগরওয়াল। তারপরের বলে রান আসেনি। শেষ দুই বলে দুই উইকেট পড়ে যায় পাঞ্জাবের। ফলে ম্যাচ গড়ায় সুপার ওভারে। সেখানে রাবাদার দুরন্ত বোলিংয়ে হারতে হয় পাঞ্জাবকে। কিন্তু এই শর্ট রান ডাকা নিয়েই শুরু হয়েছে বিতর্ক।
টিভি রিপ্লেতে দেখা যায়, একটা অ্যাঙ্গল থেকে দেখে মনে হচ্ছে জর্ডনের ব্যাট ক্রিজ অতিক্রম করেছে। কিন্তু এই রিপ্লের পরেও আম্পায়ারের সিদ্ধান্তই বলবত থাকে। এই ঘটনায় বেজায় চটেছেন কিংস ইলেভেন পাঞ্জাবের কো-ওনার প্রীতি জিন্টা। ভারতের প্রাক্তন ক্রিকেটার বীরেন্দ্র সেহওয়াগ আবার রসিকতা করে ম্যাচের সেরার পুরস্কার দিয়েছেন আম্পায়ার নীতিন মেননকে। এই ঘটনা নিয়ে সোশ্যাল মিডিয়াতেও শুরু হয়েছে বিতর্ক।