বুলেটিন্স ইন্ডিয়া ডেস্ক : পাঞ্জাবের রাজনীতিতে ‘সিক্সার’ মেরে এবার প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতির পদ হাতিয়ে নিলেন প্রাক্তন ক্রিকেটার নভজ্যোত সিং সিধু। বিধানসভা নির্বাচনের আগে দলের অন্তর্কলহ মেটাতে তাঁকে বড় দায়িত্ব দিয়েছে কংগ্রেস হাইকম্যান্ড। পাঞ্জাবের রাজনৈতিক ক্ষেত্রে তাঁর এহেন উদ্ভব সত্যিই বিস্ময়কর বটে।
সূত্রের খবর, সিধু একা নন, তাঁর সঙ্গে যুক্ত হতে চলেছেন দুজন কার্য নির্বাহী সভাপতিও। যারা পাঞ্জাব মুখ্যমন্ত্রী ক্যাপ্টেন অমরিন্দর সিং শিবিরের লোক। জানা গেছে, গোষ্ঠী রাজনীতির সমীকরণের জেরেই রদবদল হতে পারে পাঞ্জাব মন্ত্রি সভাতেও। কংগ্রেস হাইকম্যান্ড ক্যাপ্টেন অমরিন্দর সিং’কে দু’জন মন্ত্রী বহিষ্কার করার নির্দেশ দেন। তার পাশাপাশি দপ্তর বদল হতে পারে তিন নেতার।
ক্যাপ্টেন অমরিন্দর সিং ও সিধুর অন্তর্বিবাদের জেরেই এই সিদ্ধান্ত কংগ্রেস হাইকম্যান্ডের । আসলে ক্যাপ্টেনের সাথে সিধুর সম্পর্ক মোটেই ভালো নয়। প্রথমে তাঁদের সম্পর্ক সুসম্পর্ক হলেও পরবর্তীকালে তার রূপ বদলে যায়। বছর চারেক আগে বিজেপি ছেড়ে কংগ্রেসে যোগ দেওয়া সিধু’কে অমরিন্দরে’র সঙ্গে ২০১৭ নির্বাচনে জুটি বেঁধে ভোট প্রচার করতে দেখা যায়। এমনকি ক্যাপ্টেনের সহায়তায় মন্ত্রী পদ পান প্রাক্তন ক্রিকেটার সিধু। কিন্তু ২০১৯ সালে সম্পর্ক ক্রমাগত খারাপ হয়ে যাওয়ায় মন্ত্রিত্ব পদ ত্যাগ করেন তিনি। একসঙ্গে কাজ করতে না পারায় সিধুকে কেন্দ্রীয় স্তরে দায়িত্ব দেয় কংগ্রেস। লোকসভা ভোটের প্রচারের পর ও বিধানসভা ভোটের আগে পাঞ্জাব রাজনীতিতে নতুন করে প্রবেশ করতে চান সিধু। তবে ক্রমাগত নিজ দলের মুখ্যমন্ত্রী অমরিন্দর’কে আক্রমণ করার ফলে দলের অন্তর্কলহ বাইরে প্রকাশ্যে চলে আসতে থাকে। গুঞ্জন শোনা যায়, কংগ্রেস ছেড়ে আম আদমি পার্টিতে যোগদান করবেন সিধু। কার্যত তাঁকে ধরে রাখতেই কংগ্রেস হাইকম্যান্ড তাঁকে বড়সড় পদ দেয়।
ক্রিকেট কেরিয়ারের শুরুর মতোই তাঁর রাজনৈতিক কেরিয়ারের শুরুটাও খুব একটা সন্তোষজনক না হলেও কেরিয়ারের মধ্য যাত্রায় ‘সিক্সার’ সিধু রাজনৈতিক ময়দানেও নিজের চমকপ্রদক প্রত্যাবর্তনে পেয়ে গেলেন প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতির পদ।
নভজ্যোৎ সিংহ সিধু নন, মাস্টার তারা সিংহের প্রত্যাবর্তন এখন সময়ের দাবি।
যুগনায়ক মাস্টার তারা সিংহ যা বলেছিলেন তা করেছিলেন – “লাহোর থেকে আসা ট্রেনে একটি বডি পেলে অমৃতসর থেকে যাওয়া ট্রেনে দশটি বডি তুলে দেব।”