বুলেটিন্স ইন্ডিয়া ডেস্ক : রাজনৈতিক মহলে সায়নী ঘোষের গ্রেফতারি এই মুহুর্তের সবচাইতে চর্চিত বিষয়। রবিবার ত্রিপুরার মুখ্যমন্ত্রীকে কটুক্তি করায় তাঁকে গ্রেফতার করেন পুলিশ। এই পরিস্থিতিতে ত্রিপুরা পুলিশকে পূর্ণ সমর্থন জানিয়ে তৃণমূলকে কটাক্ষ করেন মেদিনীপুরের বিজেপি সাংসদ দিলীপ ঘোষ। সায়নী ঘোষের পাশে দাঁড়ালেন অভিষেক বন্দোপাধ্যায়, ব্রাত্যবসু সহ অন্যান্য তৃণমূল নেতা-নেত্রী।
সোমবার সকালে ইকো পার্কে প্রাতঃভ্রমণে গিয়ে দিলীপ ঘোষ সায়নী ঘোষের গ্রেফতারিকে উপলক্ষ্য করে তৃণমূলকেই পালটা খোঁচা মারেন। বলেন, ‘ওরা ত্রিপুরাকে বাংলা বানাবে। গোয়াকে বাংলা বানাবে, সবাই সেটা মেনে নেবে কেন? মুখ্যমন্ত্রীর সামনে বলছে খেলা হবে! এত হিম্মত কেন হবে? একদম ঠিক কাজ করছে ত্রিপুরা পুলিশ। বাংলায় রোজ আমাদের উপর আক্রমণ হয়, তার কোনও বিচার হয় না। ওখানে ওদের চুনোপুঁটি নেতাদের ইট, পাটকেল মেরেছে তাই খুব কষ্ট।’ এরপর তৃণমূলকে সাবধান করে দিলীপ বলেন, ‘আমি তো বলব, ওদের গোয়া যাওয়া উচিত না। ওখানেও হয়তো এই অবস্থাই হবে।’
প্রসঙ্গত, শনিবার রাতে ভোটের প্রচার সেরে ফেরার পথে চৌমুহনীতে মুখ্যমন্ত্রীর বিরুদ্ধে কটুক্তি করেন সায়নী। মুখ্যমন্ত্রী বিপ্লব দেবের সভার উদ্দ্যেশে ‘খেলা হবে’ স্লোগান দেন তিনি। এমনকি, ফেরার পথে সায়নীর গাড়ি কোনও এক ব্যক্তিকে ধাক্কা মারে, আহত অবস্থায় তাঁকে হাসপাতালে ভরতি করাতে হয়। রাতেই ত্রিপুরা থানার পুলিশ সায়নীকে গ্রেফতার করার উদ্দ্যেশে পোলো হোটেলের দিকে রওনা হয়। কিন্তু সেখানেই পুলিশের কাছে আইনি নোটিস দেখতে চান তৃণমূল নেতৃবৃন্দ। সায়নীকে থানায় নিয়ে যেতে বাধা দেন কুণাল ঘোষ।
অবশেষে রবিবার সায়নী গ্রেফতার হন। খবর পেয়ে রবিবার রাতেই ত্রিপুরায় যাওয়ার সিদ্ধান্ত নেন তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। কিন্তু বিমান উতরাইয়ের সময়সূচি গন্ডগোল হওয়ায় তাঁর যাত্রা বাতিল হয়ে যায়। পরেরদিন অর্থাৎ সোমবার সকালে ফের ত্রিপুরার উদ্দ্যেশে পাড়ি দেন তিনি।
ছবি সংগৃহীত
Recent Comments